ঢাকা ১১:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভাঙ্গায় তুচ্ছ ঘটনায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:১২:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ১০৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:: ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের খাপুরা  গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সাধু মাতুব্বর ও মিরাজ শিকদার গ্রুপের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহতদের ভর্তি করা হয়েছে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। ঘটনার পর থেকে গোটা এলাকায় থনথম অবস্থা বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

আহতরা হলেন চুন্নু শিকদার ছেলে শিপন শিকদার (৩৫), মৃতঃ আবদুল গফার শেখ ছেলে নুরু ইসলাম শেখ (৪৫) রোমান ফকির। আহতদের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর জখম হওয়া যুবক শিপন শিকদারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এদিকে সংঘাত চলাকালে এলাকার হাসমত ফকির ছেলে (বিপ্বব ফকির( ৩০) বাড়ির সামনে দাঙ্গা দেখার সময় এলোপাতাড়ি ইটের আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছে।

পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, হামিরদী  ইউনিয়নের খাপুরা গ্রামের মিরাজ শিকদার ও সাধু মাতুব্বর গ্রুপের মধ্যে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে  কাকডাকা ভোর বেলায় দেশে অস্ত্র সশ্রে সজ্জিত হয়ে সংঘাতে লিপ্ত হয়। এক পক্ষে অন্য পক্ষকে ঘায়েল করতে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চালাতে থাকে। পুরুষের সংঘাত চলাকালীন সময়ে একই গ্রামের নারীরা সেখানে এসে যোগ দেয়। মুহূর্তের মধ্যে গোটা এলাকা আরও অশান্ত হয়ে ওঠে। দুই পক্ষের সংঘাতে কমপক্ষে ১০জন আহত হয়।

গুরুতর আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা ও অন্যান্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে  পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষকে শান্ত

করে।

গত কদিন আগে সাধু মাতুব্বরের সমর্থক আরজু ফকিরের ছেলে আজিম ফকিরের সঙ্গে মিরাজ সিকদারের সমর্থক রিপন সিকদারের দোকানের কর্মচারীর কথা-কাটাকাটির ঘটনার জেরধরে শনিবার সকালে দুপক্ষের সংঘটিত সংঘর্ষ সৃষ্টি বলে অভিযোগ প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় জনগণের।

ঘটনাস্থল থেকে ভাঙ্গা থানার এস আই সিরাজুল ইসলাম জানান চারদিন আগে এক যুবককে মারধর করার ঘটনা কেন্দ্র করে একই গ্রামে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘাতের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযোগ পাওয়া গেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবে পুলিশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ভাঙ্গায় তুচ্ছ ঘটনায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০

আপডেট সময় : ০৬:১২:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:: ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের খাপুরা  গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সাধু মাতুব্বর ও মিরাজ শিকদার গ্রুপের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহতদের ভর্তি করা হয়েছে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। ঘটনার পর থেকে গোটা এলাকায় থনথম অবস্থা বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

আহতরা হলেন চুন্নু শিকদার ছেলে শিপন শিকদার (৩৫), মৃতঃ আবদুল গফার শেখ ছেলে নুরু ইসলাম শেখ (৪৫) রোমান ফকির। আহতদের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর জখম হওয়া যুবক শিপন শিকদারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এদিকে সংঘাত চলাকালে এলাকার হাসমত ফকির ছেলে (বিপ্বব ফকির( ৩০) বাড়ির সামনে দাঙ্গা দেখার সময় এলোপাতাড়ি ইটের আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছে।

পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, হামিরদী  ইউনিয়নের খাপুরা গ্রামের মিরাজ শিকদার ও সাধু মাতুব্বর গ্রুপের মধ্যে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে  কাকডাকা ভোর বেলায় দেশে অস্ত্র সশ্রে সজ্জিত হয়ে সংঘাতে লিপ্ত হয়। এক পক্ষে অন্য পক্ষকে ঘায়েল করতে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চালাতে থাকে। পুরুষের সংঘাত চলাকালীন সময়ে একই গ্রামের নারীরা সেখানে এসে যোগ দেয়। মুহূর্তের মধ্যে গোটা এলাকা আরও অশান্ত হয়ে ওঠে। দুই পক্ষের সংঘাতে কমপক্ষে ১০জন আহত হয়।

গুরুতর আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা ও অন্যান্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে  পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষকে শান্ত

করে।

গত কদিন আগে সাধু মাতুব্বরের সমর্থক আরজু ফকিরের ছেলে আজিম ফকিরের সঙ্গে মিরাজ সিকদারের সমর্থক রিপন সিকদারের দোকানের কর্মচারীর কথা-কাটাকাটির ঘটনার জেরধরে শনিবার সকালে দুপক্ষের সংঘটিত সংঘর্ষ সৃষ্টি বলে অভিযোগ প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় জনগণের।

ঘটনাস্থল থেকে ভাঙ্গা থানার এস আই সিরাজুল ইসলাম জানান চারদিন আগে এক যুবককে মারধর করার ঘটনা কেন্দ্র করে একই গ্রামে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘাতের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযোগ পাওয়া গেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবে পুলিশ।