নুহু নবীর আমলে মহা প্লাবন থেকে মানব জাতিকে রক্ষা করেছিল নৌকা- প্রধানমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ১১:৩৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী ২০২৪ ২৪২ বার পড়া হয়েছে
মামুনুর রশীদ ফরিদপুর
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন নুহু নবীর আমলে মহা প্লাবন থেকে মানব জাতিকে রক্ষা করেছিল নৌকা। বঙ্গবন্ধুর নৌকা মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ভোট দিয়ে বাংলার জনগণের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিল। নৌকা মার্কা ক্ষমতায় আসলেই দেশের মানুষের ও তাদের ভাগ্যের উন্নতী হয়। অস্ত্রহাতে নিয়ে অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘনকারীরা ক্ষমতায় আসলে কোনদিন দেশের উন্নয়ন আসেনি বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার (জানুয়ারি ২) ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে আয়োজিত এক নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন। সভার সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামীম হক। ফরিদপুরের অপর তিনটি সংসদীয় আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের পাশাপাশি মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, মাগুরা , রাজবাড়ী ও ফরিদপুর জেলার সব আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা এবং দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি জাতির পিতার কন্যা। কারও কাছে মাথা নত করি না, মাথা নত করব না। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসেছিল গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে। আমি গ্যাস বিক্রি করতে চাইনি বলে ষড়যন্ত্র করে আমাকে আসতে দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে আমরা জয়ী হই। আওয়ামী লীগ এককভাবে ২৩৩টি আসনে জয়লাভ করে। আর এই বিএনপি বড় বড় কথা বলে, লম্পঝম্প করে, তারা পেয়েছিল মাত্র ৩০টি সিট। যে কারণে তারা ২০১৪ তে নির্বাচন করেনি। ২০১৮ তে নির্বাচনে প্রার্থী বাণিজ্য, মনোনয়ন বাণিজ্য করে নিজেদের মধ্যে গোলমাল করে সরে যায়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের সমর্থন নিয়ে ২০০৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ১৫ বছর ক্ষমতায় আছে। আমরা ক্ষমতায় এসে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ঘোষণা দিয়েছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। আজকে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। ৮ হাজারের ওপরে ডিজিটাল সেন্টার আজকে আমাদের দেশের মানুষকে সেবা দিচ্ছে। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রত্যেকটা মানুষের হাতে হাতে মোবাইল ফোন পৌঁছে দিয়েছি। ওয়াইফাই কানেকশন দিয়ে দিয়েছি।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফের সঞ্চালনায় জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ফরিদপুর জেলা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ফারুক হোসেন, মাসুদুল হক, সাইফুজ্জামান সেলিম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল ও ফরিদপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহদাব আকবর প্রমুখ।
এর আগে দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ফরিদপুর পৌঁছে সার্কিট হাউসে আসেন। সেখানে মধ্যাহ্নভোজ ও বিশ্রাম শেষে বিকেল ৩টা ১৩ মিনিটে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের জনসভায় যোগ দেন। জনসভা মঞ্চে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীরা ভিন্নমাত্রায় তাকে স্লোগান ও অভিবাদন দিয়ে বরণ করে নেন। আওয়ামী লীগ সভাপতির ফরিদপুর সফরকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ ছিল সবার কাছে লক্ষ্যনীয়। জনসভায় যোগ দিতে সকাল থেকেই রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে আসতে শুরু করেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। নানা রঙের শাড়ি, রঙিন ক্যাপ-পোশাক পরে বাঁশি বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে মাঠে আসেন দলীয় সমর্থকরা। সঙ্গে ছিল ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড। দুপুর ১টা ৮ মিনিটে কোরআন তেলাওয়াত, গিতা ও বাইবেল পাঠের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে জনসভা শুরু হয়।