ঢাকা ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ আই ট্রাস্ট হসপিটালের ফ্রি চক্ষু ক্যাম্প

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:২৯:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ ৮৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :: ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার হামিদী ইউনিয়ন বাসীকে চক্ষু চিকিৎসা সেবার লক্ষে একটি ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। ফ্রি চক্ষু ক্যাম্পে প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ নারী-পুরুষ সেবা গ্রহণ করে। সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত চলে একার্যক্রম।
আনোয়ারা মান্নান বেগ ফাউন্ডেশনের মহাসচিব স্থপতি মুজাহিদ বেগের সার্বিক সহযোগিতায় ফ্রি চক্ষু ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ আই ট্রাস্ট হসপিটাল থেকে ডাঃ আরাফাত হোসেনসহ ৭ সদস্যের একটি টিমএই ক্যাম্পিং-এ চক্ষু চিকিৎসাশ গরিব ও অসহায় রোগীদের বিনামূল্যে সেবা প্রদান করা হয়।

বিশেষ করে বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা, বাছাইকৃত ছানি রোগীদের বিনামূল্যে ডায়াবেটিস ও ব্লাড প্রেসার পরীক্ষা। ফ্যাকো পদ্ধতিতে বিদেশি সফট্ লেন্স দ্বারা ব্যাথামুক্ত, সেলাইবিহীন, রক্তপাত ছাড়া ছানি অপারেশন এবং চক্ষু অপারেশনের পরে বিনামূল্যে কালো চশমা ও ঔষধ প্রদান করা হবে।

সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা জানান চোখে ছানি পড়ার কারণে ও টাকার অভাবে চোখ থাকতেও অন্ধ ছিল পরিবারের সদস্যরা। আজ বিনামূল্যে সেবা প্রদান করছে বাংলাদেশ আই ট্রাস্ট হসপিটাল। আমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি তাদের এ মহতী উদ্যোগকে।
উপকার ভোগী গরীব অসহায় ব্যক্তিরা আরও বলেন এই সেবা পেয়ে খুশি। আয়োজকদের সহযোগিতায় হয়তো এখন পরিবারের সদস্যরা চোখের দৃষ্টি ফিরে পাবেন ইনশাআল্লাহ।

স্থপতি মুজাহিদ বেগ বলেন, আল্লাহ পাকের ইচ্ছেতে ১৯৯০ সাল থেকে আমি এবং আমাদের পরিবারের সদস্যরা মিলে দৃষ্টিহীন মানুষের চোখে আলো ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য কাজ শুরু করি। বাংলাদেশ আই ট্রাস্ট হসপিটাল থেকে এ পর্যন্ত শত শত রোগীর সেবা প্রদান করা হয়েছে। নুন্যতম একজন মানুষের চোখের জৌতি যদি চিকিৎসা সেবায় উপকৃত করা যায় তাহলে আমরা সেই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আল্লাহ পাক আমাদেরকে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সেবা করার তৌফিক দান করেন আপনাদের কাছে দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।

উল্লেখ্য ডা. আরাফাত হোসেনের নেতৃত্বে মামুনুর রশীদ, সৈয়দ আবু নাসের, মো. মেহেরান হোসেন, মো. জাহিদ হোসেন, মো. সোলাইমান, মো. আনোয়ার হোসেনের ৮ সদস্য টিম ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মহেশ্বরদী গ্রামে চক্ষু চিকিৎসা প্রদান করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশ আই ট্রাস্ট হসপিটালের ফ্রি চক্ষু ক্যাম্প

আপডেট সময় : ০৯:২৯:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :: ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার হামিদী ইউনিয়ন বাসীকে চক্ষু চিকিৎসা সেবার লক্ষে একটি ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। ফ্রি চক্ষু ক্যাম্পে প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ নারী-পুরুষ সেবা গ্রহণ করে। সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত চলে একার্যক্রম।
আনোয়ারা মান্নান বেগ ফাউন্ডেশনের মহাসচিব স্থপতি মুজাহিদ বেগের সার্বিক সহযোগিতায় ফ্রি চক্ষু ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ আই ট্রাস্ট হসপিটাল থেকে ডাঃ আরাফাত হোসেনসহ ৭ সদস্যের একটি টিমএই ক্যাম্পিং-এ চক্ষু চিকিৎসাশ গরিব ও অসহায় রোগীদের বিনামূল্যে সেবা প্রদান করা হয়।

বিশেষ করে বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা, বাছাইকৃত ছানি রোগীদের বিনামূল্যে ডায়াবেটিস ও ব্লাড প্রেসার পরীক্ষা। ফ্যাকো পদ্ধতিতে বিদেশি সফট্ লেন্স দ্বারা ব্যাথামুক্ত, সেলাইবিহীন, রক্তপাত ছাড়া ছানি অপারেশন এবং চক্ষু অপারেশনের পরে বিনামূল্যে কালো চশমা ও ঔষধ প্রদান করা হবে।

সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা জানান চোখে ছানি পড়ার কারণে ও টাকার অভাবে চোখ থাকতেও অন্ধ ছিল পরিবারের সদস্যরা। আজ বিনামূল্যে সেবা প্রদান করছে বাংলাদেশ আই ট্রাস্ট হসপিটাল। আমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি তাদের এ মহতী উদ্যোগকে।
উপকার ভোগী গরীব অসহায় ব্যক্তিরা আরও বলেন এই সেবা পেয়ে খুশি। আয়োজকদের সহযোগিতায় হয়তো এখন পরিবারের সদস্যরা চোখের দৃষ্টি ফিরে পাবেন ইনশাআল্লাহ।

স্থপতি মুজাহিদ বেগ বলেন, আল্লাহ পাকের ইচ্ছেতে ১৯৯০ সাল থেকে আমি এবং আমাদের পরিবারের সদস্যরা মিলে দৃষ্টিহীন মানুষের চোখে আলো ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য কাজ শুরু করি। বাংলাদেশ আই ট্রাস্ট হসপিটাল থেকে এ পর্যন্ত শত শত রোগীর সেবা প্রদান করা হয়েছে। নুন্যতম একজন মানুষের চোখের জৌতি যদি চিকিৎসা সেবায় উপকৃত করা যায় তাহলে আমরা সেই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আল্লাহ পাক আমাদেরকে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সেবা করার তৌফিক দান করেন আপনাদের কাছে দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।

উল্লেখ্য ডা. আরাফাত হোসেনের নেতৃত্বে মামুনুর রশীদ, সৈয়দ আবু নাসের, মো. মেহেরান হোসেন, মো. জাহিদ হোসেন, মো. সোলাইমান, মো. আনোয়ার হোসেনের ৮ সদস্য টিম ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মহেশ্বরদী গ্রামে চক্ষু চিকিৎসা প্রদান করে।