ফরিদপুরে বাস মালিক গ্রুপের সভাপতির উপরে সন্ত্রাসী হামলা আটক ২

- আপডেট সময় : ১২:২৩:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১০৯ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :: ফরিদপুর জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি মো. কামরুল ইসলাম সিদ্দিকীর (৫০) ওপর সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছ। এ ঘটনায় ২ জনকে আটক করেছে কোতয়ালি থানা পুলিশ। এসময় একটি ধারালো অস্ত্র রামদা উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন-শহরের রঘুনন্দনপুরের রিপন শেখ এবং অপরজন রথখোলা এলাকার সোহাগ হাওলাদার। এরমধ্যে রিপন শেখ কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে ডজন খানেক মামলা রয়েছে। রিপন জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ও জেলা মোটর ওয়ার্কার্স শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি গোলাম মো. নাছিরের অন্যতম সহযোগী বলে জানান স্থানীয়রা।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন কোতোয়ালি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদউজ্জামান। এর আগে সন্ধ্যায় শহরের গোয়ালচামটস্থ মডেল মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সন্ধ্যায় মডেল মসজিদ থেকে মাগরিবের নামাজ পড়ে বের হয়ে আসেন পার্শ্ববর্তী রথখোলা এলাকার বাসিন্দা কামরুল ইাসলাম সিদ্দিকী। মসজিদের গেইটে পৌঁছানো মাত্র ৪ থেকে ৫ জন হামলার চেষ্টা চালায়। এসময় এক হামলাকারী মাফলার দিয়ে গলা পেঁচিয়ে ফেলে। বিষয়টি দেখতে পেয়ে রেজাউল করিম সজল নামে এক ব্যক্তি ঠেকানোর চেষ্টা করলে ধারালো অস্ত্র রামদার আঘাতে আহত হয়। এরপরই মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। এ সময় রিপন শেখ নামে ঐ ব্যক্তিকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা।
বিজ্ঞাপন
আহত ব্যক্তি জানান, মাগরিবের নামাজ শেষ করে হঠাৎ করেই দেখি ওনাকে মাফলার দিয়ে গলা পেঁচিয়ে ফেলেছে। তখন আমি ঠেকানোর চেষ্টা করলে ওরা মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দেয়। এরপরই রামদা দিয়ে কোপ দিতে গেলে আমি ধরে ফেলি। তখন আমার হাতর কনুইয়ের অংশ কেটে যায়।
ঘটনার পর হামলার শিকার কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, হামলাকারীদের মধ্যে ৪ জনকে চিনতে পেরেছি। রাজনৈতিক কারণে আমার ওপর এই হামলা হয়েছে। আমি সভাপতি হওয়ার পরপর থেকে আমি বাসস্ট্যান্ড কেন্দ্রিক চাঁদাবাজি বন্ধের চেষ্টা চালিয়ে আসছি। এতে ওরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে আজ এ ঘটনা ঘটায়। পূর্বেও চক্রটি আমাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল।
এবিষয়ে কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান জানান, সন্ধ্যা পরেই বিষয়টি আমি জানতে পারি। তখন পুলিশ পাঠানো হলে স্থানীয়রা একজনকে আটক করে পুলিশে দেয়। পরবর্তীতে আরও একজনকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রাতেই মামলা হবে এবং জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।