ঢাকা ১০:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকা-খুলনা পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল উচ্ছ্বসিত এলাকাবাসী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:১১:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ৮৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক ফরিদপুর :: অবশেষে ফিরে এলো মাহেন্দ্রক্ষণ। আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা থেকে খুলনা পর্যন্ত চালু হলো পরীক্ষামূলক ট্রেন। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার কমলাপুর রেল ষ্টেশন থেকে পরীক্ষামূলক ট্রেনটি আনুষ্ঠানিক ভাবে চালু হওয়ার পর ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার বামনকান্দা রেল জংশনে এসে পৌছায়। পরে ভাঙ্গার স্টেশন থেকে ১০ টা ৪০ মিনিটে খুলনার উদ্যেশ্যে ছেড়ে যায়। এ সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন পদস্থ কর্মকর্তার পাশাপাশি শত শত উৎসুক জনতা স্বাগত জানায়।

পরীক্ষামূলক ট্রেনের যাত্রী হিসেবে ছিলেন রেলপথ বিভাগের সচিব আ: বাকি, রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত হোসেন, রেলওয়ের পশ্চিম অঞ্চলের প্রধান কর্মকর্তা মামুনুর রহমান, রাজবাড়ী রেলওয়ের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মোঃ শফিকুর রহমানসহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, চায়না রেলওয়ে কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ কর্মকর্তাবৃন্দ

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে আগামী ১লা ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধনের পর প্রতিদিন ৩টি ট্রেন ঢাকা থেকে খুলনায় চলাচল করবে। এ জন্য ঢাকা থেকে খুলনা পৌছাতে সময় লাগবে মাত্র ৩ ঘন্টা । রেলওয়ে সূত্রে আরও জানা গেছে, যাত্রীদের চাপ বিবেচনা করে ঢাকা খুলনা রুটে চলাচল করবে তিন জোড়া ট্রেন। প্রাথমিকভাবে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও চিত্রা এক্সপ্রেসসহ খুলনা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা পর্যন্ত প্রতিদিন এই তিন জোড়া করে ট্রেন চলাচল করবে।

প্রতিদিন ভোর ৬টা, বেলা সাড়ে ১২টা, দুপুর আড়াইটা এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় খুলনা থেকে ছেড়ে যশোর, নড়াইল, ভাঙ্গা হয়ে পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে ঢাকায় পৌঁছাবে। এতে সময় লাগবে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা। প্রস্তাবনায় সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫০ টাকা।

এছাড়া ঢাকা থেকে ভাঙ্গা- ফরিদপুর-রাজবাড়ী হয়ে খুলনার দূরত্ব ছিল ৩৬৭ কিলোমিটার এবার সেই দূরত্ব কমে দাড়াচ্ছে ১৭২ কিলোমিটারে।

এদিকে নতুন রুটে ট্রেন চালুর খবরে উচ্ছ্বসিত ভাঙ্গাসহ খুলনা অঞ্চলের সাধারণ যাত্রীরা। তারা তার আনন্দিত দীর্ঘ সময়ের পর অবশেষে ঢাকা ভাঙ্গা খুলনার জনগণের মাহেন্দ্রক্ষণ হিসেবে ট্রেন চলাচল শুরু হয় সকলেই উচ্ছ্বাসিত আনন্দিত এবং বর্তমান সরকারের কাছে তারা কৃতজ্ঞ।

ভাঙ্গা বামনকান্দা রেলস্টেশনে বিষয়টি নিয়ে কথা হয় ঢাকা থেকে ফেরা বেশ কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে।৷ তাদের চোখে মুখেও ছিল উচ্ছাসের ছাপ।

রহমান মুন্সী নামে একজন যাত্রী বলেন, খুলনা থেকে ঢাকায় ট্রেনে করে যেতে আগে তাদের সময় লাগত প্রায় ৮ ঘণ্টা। সেই খুলনা থেকে ঢাকা যাওয়া যাবে মাত্র তিন ঘণ্টায় এমন সুখবরে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ আনন্দিত বলে তিনি নিজের অভিমত প্রকাশ করেন।

স্থানীয় সংবাদ কর্মী আবু সাঈদ বলেন, খুলনা থেকে ঢাকায় নতুন রুটে ট্রেন চলাচলে সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন সাধিত হয়েছে এবং সাশ্রয়ী খরচে যাতায়াত পণ্য বহনে অর্থনৈতিকভাবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হবে।
ভাঙ্গা রেলস্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার সাকিবুর রহমান আকন্দ বলেন, আজ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঢাকা থেকে খুলনা পরীক্ষামূলক ট্রেন চালু হয়েছে এবং আগামী ১লা ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিভাবে উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে প্রতিদিন ৩টি ট্রেন ঢাকা থেকে খুলনায় চলচল করবে। খুলনা থেকে ঢাকা পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা চলাচলের জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন নতুন করে টিকিটের বুথও বাড়ানো হচ্ছে। ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে যশোরের পদ্মবিলা রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেনটি চলবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ঢাকা-খুলনা পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল উচ্ছ্বসিত এলাকাবাসী

আপডেট সময় : ০১:১১:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক ফরিদপুর :: অবশেষে ফিরে এলো মাহেন্দ্রক্ষণ। আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা থেকে খুলনা পর্যন্ত চালু হলো পরীক্ষামূলক ট্রেন। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার কমলাপুর রেল ষ্টেশন থেকে পরীক্ষামূলক ট্রেনটি আনুষ্ঠানিক ভাবে চালু হওয়ার পর ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার বামনকান্দা রেল জংশনে এসে পৌছায়। পরে ভাঙ্গার স্টেশন থেকে ১০ টা ৪০ মিনিটে খুলনার উদ্যেশ্যে ছেড়ে যায়। এ সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন পদস্থ কর্মকর্তার পাশাপাশি শত শত উৎসুক জনতা স্বাগত জানায়।

পরীক্ষামূলক ট্রেনের যাত্রী হিসেবে ছিলেন রেলপথ বিভাগের সচিব আ: বাকি, রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত হোসেন, রেলওয়ের পশ্চিম অঞ্চলের প্রধান কর্মকর্তা মামুনুর রহমান, রাজবাড়ী রেলওয়ের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মোঃ শফিকুর রহমানসহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, চায়না রেলওয়ে কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ কর্মকর্তাবৃন্দ

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে আগামী ১লা ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধনের পর প্রতিদিন ৩টি ট্রেন ঢাকা থেকে খুলনায় চলাচল করবে। এ জন্য ঢাকা থেকে খুলনা পৌছাতে সময় লাগবে মাত্র ৩ ঘন্টা । রেলওয়ে সূত্রে আরও জানা গেছে, যাত্রীদের চাপ বিবেচনা করে ঢাকা খুলনা রুটে চলাচল করবে তিন জোড়া ট্রেন। প্রাথমিকভাবে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও চিত্রা এক্সপ্রেসসহ খুলনা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা পর্যন্ত প্রতিদিন এই তিন জোড়া করে ট্রেন চলাচল করবে।

প্রতিদিন ভোর ৬টা, বেলা সাড়ে ১২টা, দুপুর আড়াইটা এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় খুলনা থেকে ছেড়ে যশোর, নড়াইল, ভাঙ্গা হয়ে পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে ঢাকায় পৌঁছাবে। এতে সময় লাগবে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা। প্রস্তাবনায় সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫০ টাকা।

এছাড়া ঢাকা থেকে ভাঙ্গা- ফরিদপুর-রাজবাড়ী হয়ে খুলনার দূরত্ব ছিল ৩৬৭ কিলোমিটার এবার সেই দূরত্ব কমে দাড়াচ্ছে ১৭২ কিলোমিটারে।

এদিকে নতুন রুটে ট্রেন চালুর খবরে উচ্ছ্বসিত ভাঙ্গাসহ খুলনা অঞ্চলের সাধারণ যাত্রীরা। তারা তার আনন্দিত দীর্ঘ সময়ের পর অবশেষে ঢাকা ভাঙ্গা খুলনার জনগণের মাহেন্দ্রক্ষণ হিসেবে ট্রেন চলাচল শুরু হয় সকলেই উচ্ছ্বাসিত আনন্দিত এবং বর্তমান সরকারের কাছে তারা কৃতজ্ঞ।

ভাঙ্গা বামনকান্দা রেলস্টেশনে বিষয়টি নিয়ে কথা হয় ঢাকা থেকে ফেরা বেশ কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে।৷ তাদের চোখে মুখেও ছিল উচ্ছাসের ছাপ।

রহমান মুন্সী নামে একজন যাত্রী বলেন, খুলনা থেকে ঢাকায় ট্রেনে করে যেতে আগে তাদের সময় লাগত প্রায় ৮ ঘণ্টা। সেই খুলনা থেকে ঢাকা যাওয়া যাবে মাত্র তিন ঘণ্টায় এমন সুখবরে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ আনন্দিত বলে তিনি নিজের অভিমত প্রকাশ করেন।

স্থানীয় সংবাদ কর্মী আবু সাঈদ বলেন, খুলনা থেকে ঢাকায় নতুন রুটে ট্রেন চলাচলে সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন সাধিত হয়েছে এবং সাশ্রয়ী খরচে যাতায়াত পণ্য বহনে অর্থনৈতিকভাবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হবে।
ভাঙ্গা রেলস্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার সাকিবুর রহমান আকন্দ বলেন, আজ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঢাকা থেকে খুলনা পরীক্ষামূলক ট্রেন চালু হয়েছে এবং আগামী ১লা ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিভাবে উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে প্রতিদিন ৩টি ট্রেন ঢাকা থেকে খুলনায় চলচল করবে। খুলনা থেকে ঢাকা পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা চলাচলের জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন নতুন করে টিকিটের বুথও বাড়ানো হচ্ছে। ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে যশোরের পদ্মবিলা রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেনটি চলবে।