ঢাকা ১১:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাদক কারবারের জের ধরে খুন হয় শিক্ষার্থী তুরাগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:১৭:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩ ১০৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব সংবাদদাতা :: আসাদুজ্জামান নুর ওরফে তুরাগ। মাদক কারবার ও নেশার দিকে ঝুঁক থাকায় এলাকার মাদক কারবারীদের সাথে বেশ জানাশুনার সুত্রতা ছিল তার। ছিল মাদক কারবারি তুষার ওরফে কানা তুষারের সাথে মাদক কারবার নিয়ে দ্বন্ধ। এবছর শুরুর দিকে তুরাগ মাদক ব্যবসার লেনদেন নিয়ে তুষারকে কুপিয়ে জখম করে। তুরাগ যে হাত দিয়ে তুষারকে কুপিয়ে ছিল সেই হাতের কব্জি চাই-এমন প্রতিজ্ঞা এবং ওই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে তুরাগকে হত্যার পরিকল্পনা করে তারা। সেই বিরোধের জের ধরে ফরিদপুরে সরকারী রাজেন্দ্র কলেজের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান নুর ওরফে তুরাগকে খুন করা হয়।

গত ১১ অক্টোবর জেলা শহরে অম্বিকাপুর ইউনিয়নের ধুলদি গোবিন্দপুরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে একটি মেহগনি বাগান থেকে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অনার্স উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান তুরাগকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এসময় হত্যাকারীরা তার হাত কেটে নিয়ে যায় ও উল্লাস করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নুরের লাশ উদ্ধার করে। নিহতের বাবা আলাউদ্দিন হাওলাদার বাদি হয়ে ৭ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে।

ফরিদপুরে কলেজর শিক্ষার্থী তুরাগ হত্যা কাণ্ডের রহস্য উৎঘাটনসহ শনিবার রাতে মূল পরিকল্পনাকারীসহ তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আসামিরা হলো শহরের অম্বিকাপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের দুই ছেলে কালা রাজন ও মো. সাজন, এবং পশ্চিম ভাসানচর গ্রামের আব্দুস ছালাম শেখের ছেলে জুয়েল শেখ।

গতকাল রবিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসামি গ্রেপ্তার ও তুরাগ হত্যার নেপথ্য নিয়ে পুলিশ সুপার মোঃ শাহাজাহন জানান, তুরাগ হত্যা ঘটনায় নুরের পিতা আলাউদ্দিন হাওলাদার কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে পুলিশ তদন্তে মাঠে নামে। একাধিক সূত্র ও সোর্সের মাধ্যেমে নিশ্চিত হয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গত ১৭ অক্টোবর আক্কাস নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে অপর তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আটকের সময় তাদের কাছ থেকে দুটি রামদা উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সুপার জানান, মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে কলেজ শিক্ষার্থী তুরাগের সাথে কানা তুষারের বিরোধ চলছিল। মাদকের বিরোধের জের ধরেই পরিকল্পিতভাবে কলেজ শিক্ষার্থী তুরাগকে হত্যা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আরও জানান, তুরাগের হাত কেটে হত্যাকারী তুষারের বোনের কাছে পাঠানো হয়। আটক আসামিরা জানায়, তার ভাই তুষারকে যে হাত দিয়ে কুপিয়ে ছিলো সেই হাত চাই। এমন ইচ্ছপুরনের থেকে নিহত তুরাগের হাত তারা কেটে বোনের কাছে পাঠায় আসামিরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মাদক কারবারের জের ধরে খুন হয় শিক্ষার্থী তুরাগ

আপডেট সময় : ০৪:১৭:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব সংবাদদাতা :: আসাদুজ্জামান নুর ওরফে তুরাগ। মাদক কারবার ও নেশার দিকে ঝুঁক থাকায় এলাকার মাদক কারবারীদের সাথে বেশ জানাশুনার সুত্রতা ছিল তার। ছিল মাদক কারবারি তুষার ওরফে কানা তুষারের সাথে মাদক কারবার নিয়ে দ্বন্ধ। এবছর শুরুর দিকে তুরাগ মাদক ব্যবসার লেনদেন নিয়ে তুষারকে কুপিয়ে জখম করে। তুরাগ যে হাত দিয়ে তুষারকে কুপিয়ে ছিল সেই হাতের কব্জি চাই-এমন প্রতিজ্ঞা এবং ওই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে তুরাগকে হত্যার পরিকল্পনা করে তারা। সেই বিরোধের জের ধরে ফরিদপুরে সরকারী রাজেন্দ্র কলেজের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান নুর ওরফে তুরাগকে খুন করা হয়।

গত ১১ অক্টোবর জেলা শহরে অম্বিকাপুর ইউনিয়নের ধুলদি গোবিন্দপুরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে একটি মেহগনি বাগান থেকে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অনার্স উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান তুরাগকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এসময় হত্যাকারীরা তার হাত কেটে নিয়ে যায় ও উল্লাস করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নুরের লাশ উদ্ধার করে। নিহতের বাবা আলাউদ্দিন হাওলাদার বাদি হয়ে ৭ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে।

ফরিদপুরে কলেজর শিক্ষার্থী তুরাগ হত্যা কাণ্ডের রহস্য উৎঘাটনসহ শনিবার রাতে মূল পরিকল্পনাকারীসহ তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আসামিরা হলো শহরের অম্বিকাপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের দুই ছেলে কালা রাজন ও মো. সাজন, এবং পশ্চিম ভাসানচর গ্রামের আব্দুস ছালাম শেখের ছেলে জুয়েল শেখ।

গতকাল রবিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসামি গ্রেপ্তার ও তুরাগ হত্যার নেপথ্য নিয়ে পুলিশ সুপার মোঃ শাহাজাহন জানান, তুরাগ হত্যা ঘটনায় নুরের পিতা আলাউদ্দিন হাওলাদার কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে পুলিশ তদন্তে মাঠে নামে। একাধিক সূত্র ও সোর্সের মাধ্যেমে নিশ্চিত হয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গত ১৭ অক্টোবর আক্কাস নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে অপর তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আটকের সময় তাদের কাছ থেকে দুটি রামদা উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সুপার জানান, মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে কলেজ শিক্ষার্থী তুরাগের সাথে কানা তুষারের বিরোধ চলছিল। মাদকের বিরোধের জের ধরেই পরিকল্পিতভাবে কলেজ শিক্ষার্থী তুরাগকে হত্যা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আরও জানান, তুরাগের হাত কেটে হত্যাকারী তুষারের বোনের কাছে পাঠানো হয়। আটক আসামিরা জানায়, তার ভাই তুষারকে যে হাত দিয়ে কুপিয়ে ছিলো সেই হাত চাই। এমন ইচ্ছপুরনের থেকে নিহত তুরাগের হাত তারা কেটে বোনের কাছে পাঠায় আসামিরা।